
গ্রন্থাগার আজ গ্রন্থের কাছে নির্মম কারাগার;
সেলুলার জেল-বন্দীর চেয়েও ভয়ংকর গ্রন্থের ভবিষ্যৎ,
অবহেলায়, কীট আর মাকড়ের অবাধ দৌরাত্ম্যে-
একদিন হয়তো আলমারীর গারদে-
বন্দীদের হবে জীবনাবসান।
কালের স্রোত হড়পা বানের মতোই নিষ্ঠুর;
যেমন করে টেনে নিয়ে যায়- নিমিষেই তিল তিল করে গড়ে ওঠা আমাদের আদরের তিলোত্তমা-কে;
সেই ভেবে কসাইখানার বাইরে অপেক্ষমাণ পশুর মতো সকরুণ চোখে আতঙ্কিত গ্রন্থকূল,
আবর্জনার স্তুপে ঢাঁই হয়ে থাকা পরিত্যক্তদের মতো হয়তো বা তাদের অদূর ভবিষ্যত।
সাইন বোর্ডের মুকুট মাথায় পরে-
হয়তো বা গ্রন্থাগার থাকবে দাঁড়িয়ে,
গ্রন্থেরা দেহ বদলে তরঙ্গের সমুদ্রে সঁপে দেবে প্রাণ,
হয়তো বা মিউজিয়ামের কোনও এক সৌখিন আর্কাইভে সোনার সিন্দুকে মমির মতো- শায়িত থাকবে বিস্ময় সৃষ্টির অমূল্য সম্ভার।
আগামী প্রজন্ম কোনও ইতিকথা না জেনেই- সবজান্তার মতো বলবে,
এটা আমাদের ফেলে আসা বিবর্ণ অতীত,
হয়তো বা কেউ বলবে এটা এক প্রাচীন নিদর্শন।