
জাতপাত আর ভাষা বৈষম্যের আঁচে পুড়ছে দেশ। প্রদেশে প্রদেশে চলছে হানাহানি। রাজা বাবু বাঙালি নিধন করতে গিয়ে দেশকে চরম অস্থিরতার দিকে ঠিলে দিচ্ছেন। একদিন চরম মাশুল দিতে হবে রাজাবাবুকেই। এক আতঙ্কগ্রস্ত সহ-নাগরিক হিসেবে আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে চলেছে দেশহীন করার ষড়যন্ত্র। তারই প্রতিবাদে আমার কলমের এই গর্জন।
বশ্যতার আরেক নাম মৃত্যু
বাঙালী নয় খেলার পুতুল- একদা ব্রিটিশ ত্রাস,
বাঙালী মানে কালবৈশাখী ঝড় –
দুষ্কৃতি বিনাশ;
বাঙালী মানে কঠিন শপথ-
যুদ্ধের দামামা,
বাঙালি মানে পর হিতে প্রাণ-
দুর্বৃত্তে নেই ক্ষমা।
বাঙালি মানে ক্ষুদিরাম বোস- বিনয় বাদল দীনেশ,
যারা ব্রিটিশের শিকড় উপড়ে ফেলে-
স্বাধীন করেছে দেশ;
যাদের ভয়ে ভীত ব্রিটিশ থরহরি কম্পমান-
রাজ্যপাট গুটিয়ে
পালিয়ে বেঁচেছে প্রাণ।
সে জাতির কাছে মর্যাদা শ্রেয়-
তুচ্ছ মৃত্যু ভয়,
পেডি, ডগলাস, বার্জ নিকেশ-
অস্মিতার পরিচয়;
সে জাতি কারো কি মানে বশ্যতা-
প্রয়োজনে ধরে অস্ত্র, রণক্ষেত্র তাদের কাছে-
পবিত্র তীর্থক্ষেত্র।
স্বাধীনতা মানে নিজের অধীন-
নয় নতমস্তকে বশ্যতা, স্বাধীনতা মানে খাদ্য বস্ত্র- বাসস্থানের নিশ্চয়তা;
স্বাধীনতা মানে
স্বাধীনভাবে দেশময় ঘোরাফেরা,
নিজের ভাষা নিজ ধর্ম
স্বগর্বে পালন করা ।
শৃগাল যদি বাঘ ছাল পরে
বাঘে দেয় হুংকার ,
বাঘ কি কভু বিচলিত হয়?
বরং নিমেষে ধরে শৃগালের টুঁটি চেপে-
ভাবিয়া আহার।
বৈষম্যের আঁচে পুড়ছে দেশ
দেশময় জ্বালালে আগুন-
রাজা তোমায় কে বাঁচাবে?
যে আগুনে পুড়বে প্রজা-
তোমায় সেই আগুনে পুড়তে হবে।
জাতপাত ভাষার বিভেদ –
আড়ালে থেকে উস্কে দিয়ে,
অখন্ডতা সংহতি –
ধুলি পরে দিলে মিশিয়ে;
তুমিও উপোস করো-
নয়তো তুমি রাখো রোজা,
নিরীহ প্রজা নিয়ে করলে খেলা-
তোমায় পেতেই হবে সাজা:
চালাকির মাসুল তোমায় দিতেই হবে দিতেই হবে।
যে আগুনে পুড়বে প্রজা-
তোমায় সেই আগুনে পুড়তে হবে।।
জাতপাত ভাষার তাস-
সর্বনেশে খেলা খেলে,
ভেবেছো খেলায় জিতে-
তুমি হিরোর হিরো হয়ে গেলে;
হোয়ো না অবাক তুমি-
দেশটা খন্ড খন্ড হলে,
প্রজা নয় চাকর বাকর-
সুযোগ পেলেই উল্টে দেবে।
যে আগুনে পুড়বে প্রজা-
তোমায় সেই আগুনে পুড়তে হবে।।