ব্যুরো রিপোর্ট: আপাতত ভারতেই থাকছেন বাংলাদেশের পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Bangladesh PM Sk Hasina)। তিনি ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলেও তা খারিজ করে হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের এদিকে ঢাকা সহ গোটা বাংলাদেশ এখনও উত্তাল। আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের আগুনে পুড়ছে একের পর এক ভবন। এদিকে জানা গিয়েছে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জেল থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। বাংলাদেশের গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারত সরকারও।
বিকেল নাগাদ বাংলাদেশ সেনার এক পন্যবাহী বিমানে ভারতে আসেন শেখ হাসিনা। প্রথমে শোনা যায় আজই তিনি ব্রিটেনের উদ্দেশে উড়ে যাবেন। কিন্তু ব্রিটেন থেকে সদর্থক সাড়া না পাওয়ায় এখন কিছু দিন ভারতেই থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। খবর। তবে ব্রিটেনেই আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন হাসিনা। ইতিমধ্যেই হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তিনি হাসিনার সঙ্গে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
এদিকে শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে পারেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস। তবে তিনি ছাড়াও আরও দুটি নাম উঠে আসছে এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে। তাঁরা হলেন শিক্ষাবিদ শহিদুল আলম এবং বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রধানের নাম। তবে অন্তর্বর্তী সরকার এবং তার প্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়াকেও অনেক জটিলতা পেরতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ শুধু রাষ্ট্রপতি, সেনা এবং রাজনৈতিক দলগুলিই নয়, সেখানে মতামত থাকবে আন্দোলনরত ছাত্রদের প্রতিনিধিও।
তবে এত কিছুর পরেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। রাস্তায় সেনা নামলেও আন্দোলনকারীরা শত আবেদনেও থামছেন না। তাঁরা বাংলাদেশের সংসদভবন, শেখ হাসিনার বাসভবন, বিভিন্ন সরকারি বাসভবন, সংবাদমাধ্যমের অফিস সহ রাজধানী ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দখল নিয়ে নিয়েছেন।
বাংলাদেশের গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারতও। আজ সন্ধ্যায় দীর্ঘ বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ছাড়াও ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অজিত ডোভাল সহ মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।