Bangladesh Clash: সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে মৃত্যু ছাড়াল ১৫০, কী অবস্থা দেখুন ভারত সীমান্তে!

ব্যরো রিপোর্ট: সংরক্ষণ (Reservation) বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Clash)। আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনতে জায়গায় জায়গায় গুলি চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫০ জনের। নানা কারণে প্রতিদিনই ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে যাতায়াত করেন ভারত বাংলাদেশের মানুষ। আতঙ্কে ভারতের নাগরিকরা যে যেভাবে পারছেন বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসছেন।

বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থা প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে ভারত থেকে যাওয়া সাধারণ নাগরিক বা পড়ুয়ারা অনেক কষ্ট করে ভারতে ফিরছেন। এমনকি শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। তিনও সেখান কয়েক দিন আটকে পড়েন। কোনও রকমে রবিবার তিনি দেশে ফিরেছেন। কলকাতায় ফিরে তিনি জানিয়েছেন, ছাত্রদের আন্দোলন কার্যত বাংলাদেশের বিরোধীরা ছিনিয়ে নিয়েছেন। তিনি কার্যত সেখানে বন্দি হয়ে পড়েছিলেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

এর আগে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিজন সহ অন্যান্য ক্ষেত্রের মানুষদের জন্য মোট ৫৬ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা হয়। তার বিরুদ্ধেই পড়ুয়ারা আন্দোলনে নামেন। উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা বাংলাদেশ। রবিবার সুপ্রিম কোর্ট সেই সংরক্ষণকে কমিয়ে ৭ শতাংশে নামানোর রায় দিয়েছে। তার পরই পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে। জারি রয়েছে কার্ফু। তবে তার মধ্যেও কিছু জায়গায় সংঘর্ষের খবর সামনে এসেছে। সুপ্রিম কোর্টও বাংলাদেশের পড়ুয়াদের শ্রেণি কক্ষে ফেরার আবেদন করেছে। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মৈত্রী এক্সপ্রেস, বাস সহ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সব রকম যোগাযোগ কার্যত বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশের অচলাবস্থার জেরে ভারতের সাড়ে চার হাজার পড়ুয়া ফিরে এসেছেন। এমনকি পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভুটানের ৩৮ এবং মলদ্বীপের ১ জন এবং নেপালের ৫০০ জন ছাত্র ভারতে এসেছেন।

পেট্রাপোল সীমান্তে ব্যবসাও বন্ধ হয়ে রয়েছে। পেট্রাপোল সীমান্তে ভারতের দিকে প্রায় ৮০০ ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। কয়েক কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে, ভারতের প্রায় ৩০০টি ট্রাক আটকে রয়েছে। সেগুলিকে ফেরানো নিয়েও দুই দেশের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কথাবার্তা চলছে পেট্রাপোল সীমান্তের জিরো পয়েন্টে। তবে এখনও কোনও রাস্তা বার হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *