নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: শনিবার দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে মেদিনীপুরে আসেন খড়গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় (BJP MLA Hiranmoy Chattopadhyay)। সেখানে মুর্শিদাবাদ, হাওড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলছে সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোরকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন।
হিরণ বলেন, রাজ্যের মানুষ যে এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে কাঁদছেন, তা দেখার সময় নেই রাজ্যপালের। কেরল থেকে এসে উনি মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অ আ ক খ শিখতে চলে যান। এই রাজ্যপাল পশ্চিবঙ্গ থেকে চলে গেলে রাজ্যের বিরাট উন্নতি হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি পূর্বতন রাজ্যপাল ধনখড়ের প্রশংসাও করেন।
২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি যাওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন হিরণ। বলেন এই পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রীর রাজনীতির ফল। কারণ হাইকোর্টের রায়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপেক্ষা করছিলেন কবে সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরবে। আর তার পর তিনি ভিক্টিম কার্ড খেলে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরোনর পরও মুখ্যমন্ত্রী চাকরি হারাদের যা বলছেন তা আদালত অবমাননার সামিল। এই সাহস কোথা থেকে পাচ্ছেন সেটাই সব থেকে বড় প্রশ্ন, বলে মন্তব্য করেন হিরণ।
হিরণ ওয়াকফ বিল নিয়েও মখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন। বলেন, পশ্চিমবঙ্গে যে সন্ত্রাস চলছে তাকে পুরোপুরি মদত দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ তিনিই মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী। আর তাঁর পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে বিডিও অফিস ভাঙা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে সন্ত্রাস চলছে তাতে মুখ্যমন্ত্রীর মদত না থাকলে তা সম্ভব হত না বলেও মন্তব্য করেন হিরণ। হিরণ আরও বলেন, বাংলার মানুষ তাঁকে ‘চোর মমতা’ বলেন এই ঘটনার পর তাঁকে ‘জেহাদি মমতা’ বলবেন। এই ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের আগে আবার ভিক্টিম কার্ড খেলবেন বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি বিধায়ক।