নিজস্ব সংবাদদাতা, দাসপুর: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মৎস্য দফতরের ( Fisheries department of West Bengal) উদ্যোগে শুরু হল বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষের প্রশিক্ষণ শিবির। এই শিবিরে মূলত পরিকালচার পদ্ধতি এবং জিওল (এয়ার ব্রিথিং) মাছের চাষ উপর ৩ দিনের প্রশিক্ষণ হবে। দাসপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার পাত্র দাসপুর মিলন মঞ্চে আয়োজিত এই শিবিরের উদ্বোধন করেন।
১৮ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত চলা এই শিবিরের আয়োজন করে পশ্চিম মেদিনীপুরের সহ মৎস্য অধিকর্তা করণ এবং দাসপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতি। এর আগেও দাসপুর ১ ও ২ ব্লকের প্রায় ৬০ জন মৎস্যজীবীকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেই প্রশিক্ষণ শিবেরের উদ্বোধন করেন মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরনী। এবার দাসপুর ১ ব্লকের বিভিন্ন এলাকার ৩০ জন মৎস্যচাষিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মাছ চাষের বিজ্ঞানিক পদ্ধতির খুঁটিনাটি প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন জেলা ও ব্লক স্তরের বিশেষজ্ঞরা।
মৎস্য দফতরের তরফে মাছ চাষিদের মাছের চারা সহ অন্যান্য সাহায্য করা হয়। সুকুমার পাত্র তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে মাছ চাষে আমাদের জেলা তথা রাজ্য যে ভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠছে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরদৃষ্টির কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, কোনও মাছ চাষি যদি সরকারের উদ্যোগে বিনা পয়সার এই সব প্রশিক্ষণগুলির সুবিধা না নিতে চান তবে ভবিষ্যতে মৎস্য দফতর থেকে তাঁদের সব রকম সুযোগ সুবিধা নাও পেতে পারেন।
তিনি আরও জানান, যাঁরা অন্যের পুকুর জমায় নিয়ে চাষ করেন, তাঁরা যদি পুকুর মালিকের কাছ থেকে তা লিখিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তবে তাঁরাও নানান সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, পুকুরগুলি যাতে সঠিক ভাবে বাজারে বড় সাইজের মাছের যোগান ঠিক রাখার কাজে ব্যবহার হয় তবে তাতে স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক দুই দিক থেকেই মানুষ উপকৃত হবেন। তার জন্য জিওল মাছ ও মিশ্র চাষের উপর জোর দিতে হবে।