সারা বছরই বাগানের পরিচর্যা প্রয়োজন। তবে গরমকালে গাছের একটু বিশেষ যত্ন-আত্তি নেওয়া জরুরি। পরিবেশ রক্ষায় গাছের বিকল্প নেই। এই ক্রমবর্ধমান গরমে শীতল হাওয়ার উৎস কিন্তু গাছই। একই সঙ্গে এই গরমে গাছকেও তো ঠান্ডা রাখা দরকার। কড়া রোদে অনেক সময়ে গাছ শুকিয়ে মরে যায়। তাই এই মরসুমে গাছের বিশেষ যত্ন চাই।
কী করবেন:
১. গরমে গাছে রোজ জল দেওয়া প্রয়োজন। তবে সকাল আটটার পরে গাছে জল দেবেন না। তখন মাটি বেশ তেতে থাকে। তাই যত সকাল সকাল সম্ভব গাছে জল দিন। অনেকে আবার রাত্রে বেশি করে জল দিয়ে রাখেন। তাতেও কাজ হবে।
২. বিকেলে গাছে জল দিতে চাইলে মাটিতে হাত দিয়ে দেখে নিন তা গরম কি না। মাটি ঠান্ডা হলে তবেই গাছে জল দিন। না হলে শিকড়ের ক্ষতি হবে। গাছ মারা যেতে পারে।
৩. গরমকাল বলে অতিরিক্ত জল দেবেন না। বেশি জল দিলে কিন্তু চারাগাছের গোড়া পচে যেতে পারে। তাই খুব গরমে গাছের উপর দিকে অর্থাৎ পাতায় জল স্প্রে করুন।
৪. এই মরসুমে গাছের ছায়া প্রয়োজন। দিনের বেলায় গাছ দুই থেকে তিন ঘণ্টা রোদে থাকলেই যথেষ্ট। মধ্যাহ্নসূর্যের রোদ যেন চারাগাছে না পড়ে খেয়াল রাখতে হবে। সকাল এগারোটার পরে যেন গাছ ছায়া পায়। প্রয়োজনে গরম কালের জন্য গাছ বা বাগানের উপরে ছায়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। গাছের স্থান পরিবর্তন করে তাকে কিছুক্ষণ ছায়ায় রাখতেও পারেন।
৫. গরমে গাছের গোড়ায় পোকামাকড়ের দাপটও বাড়ে। তাই সার তৈরি করার সময়ে যত্নবান হতে হবে, যাতে সারে পোকা না ধরে। গাছের গোড়ায় গোলমরিচ গুঁড়ো স্প্রে করতে পারেন রোজ রাতের দিকে। তা হলে পোকামাকড় কমবে। এর জন্য ১ লিটার জলে ১০ গ্রাম গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে পেপার স্প্রে তৈরি করুন।
৬. আনাজপাতির গাছ লাগালে অতিরিক্ত যত্নবান হতে হবে। কুমড়ো, লাউ বা উচ্ছের মতো লতানে গাছের উপরে কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন। কড়া রোদে গাছের ফুল, পাতা ও ফল শুকিয়ে বা পুড়ে যেতে পারে।
৭. তবে এই গরমেও রোজ আবহাওয়া বদলায়। তাই সাময়িক বৃষ্টি এলে চেষ্টা করবেন, গাছগুলো যেন বৃষ্টির জল পায়। এতে গাছ ভাল থাকবে।