নিজস্ব সংবাদদাতা, ঘাটাল: পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হয়েছে। তারই অগ্রগতি বিশেষ করে কাঁসাই ও শীলাবতির জল নিয়ন্ত্রণ করতে ৫টি নির্মিয়মান স্লুইস গেটের কাজ কতদূর এগিয়েছে তা ১৪ জুন খতিয়ে দেখলেন সেচমন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। সেখানে দাঁড়িয়ে প্রয়োজনিয় নির্দেশও দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের।
মন্ত্রীর সঙ্গে এদিন কোইজুড়ি, কুমারচক, রানিচক, জোতকানুরামগড়, ঘাটালের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের স্লুইস গেটগুলি পরিদর্শন করেন সেচ দপ্তরের মুখ্য সচিব মনিশ জইন, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী, ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক এবং স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা।
ঘাটালে সেচ দফতের বাংলোতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেচমন্ত্রী নানান প্রশ্নের উত্তর দেন। সেখানেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ডিটেল প্রোজেক্ট রিপোর্ট (DPR) প্রকাশের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরুর আগে থেকেই নানান সংগঠন এবং সাধারণ মানুষের তরফে দাবি ওঠে ডিপিআর প্রকাশের। সংগঠনগুলির প্রশ্ন কেন এত দিন কাজ শুরু হয়ে গেলেও কেন এখনও ডিপিআর প্রকাশ করা হচ্ছে না। সে প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়ে দেন, ডিপিআর প্রকাশ করা হবে। ঘটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে লুকাছাপার কিছু নেই। সব কিছু স্বচ্ছ ভাবে কাজ হচ্ছে।
এছাড়াও ঘাটাল দাসপুর এলাকার সেচ ও নিকাশী নালাগুলি সংস্কার ও বোরো বাঁধ বাঁধার বিষয়টিও উঠে আসে। কারণ গত কয়েক বছর ধরে নালাগুলি সংস্কার না করার ফলে, সেচের জল পেতে যেমন সমস্যা হচ্ছে তেমন বর্ষার সময় জল নিকাশীর কোনও উপায় থাকছে না। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষের জমি, জনবসতি এলাকায় জল জমে থাকছে, বেরতে পারেছে না। আবার বোরো বাঁধ বাঁধা কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে বিগত কয়েক বছরে বোরো চাষও কার্যত না হওয়ার মতো। উর্বর এই জমিগুলিতে জলের অভাবে চাষ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন। সে প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী বলেন, তাঁরা আলোচনা করেছেন। দ্রুত এই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এলাকা পরিদর্শনের সময় দাসপুর ঘাটালের বিভিন্ন এলাকার মানুষ তাঁদের সাঁকো, রাস্তা সহ একাধিক ছোট বড় সমস্যার কথা তুলে ধরেন মন্ত্রীর কাছে। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই তিনি আধিকারিক ও জন প্রতিনিধিদের সেই সব সমস্যা দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন।