ফের বাংলাদেশী সন্দেহে রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিককে আটকে রাখার অভিযোগ ওড়িশা পুলিশের বিরুদ্ধে!

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঘাটাল: বাংলাদেশী সন্দেহে পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোনা থানা এলাকার বেড়াবেড়িয়ার এক বাসিন্দাকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ ওড়িশার বারাঙ্গা থানা গত ২৬ জুন আটক করে চন্দ্রকোনার বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিক শেখ হানিফ আলিকে।

হানিফের পরিবারের অভিযোগ আধার কার্ড, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড সব কিছু দেখানো হলেও জমির দলিল দেখাতে হবে অজুহাতে আটকে রাখা হয়েছে হানিফকে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক কটকের জেলা শাসককে চিঠি লিখেছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে আশা করা হচ্ছে দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

হানিফের পরিবারের তরফে তাঁর স্ত্রী জরিনা এবং দাদা শেখ রিয়াজ আলি জানিয়েছেন, কয়েক দিন ধরেই তাঁরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষীরপাই ফাঁড়ি, চন্দ্রকোনা থানা, ঘাটাল থানা, চন্দ্রকোনার বিধায়ক সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েছেন।

হানিফ পেশায় কাঠের মিস্ত্রী, আসবাবপত্র তৈরির কাজ করেন। সেই সূত্রেই পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে ওড়িশার কটকে গিয়েছিলেন। সেখানে ২৬ জুন রাতে যখন বিশ্রাম করছিলেন তখন, পুলিশ হানা দিয়ে বাংলাদেশি অভিযোগে তুলে নিয়ে যায়। সব পরিচয়পত্র, নথিপত্র দেখানোর পরেও তাঁকে ছাড়া হয়নি। বাংলাদেশী অভিযোগে আটকেই রেখে দেওয়া হয়েছে। বারাঙ্গা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করতেও ব্যর্থ হন বলে জানিয়েছেন শেখ রিয়াজ আলি। জেলা পুলিশ সুপার, রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে হানিফের পরিবার তাঁকে ছাড়িয়ে আনার আবেদন করেছেন।

এর আগেও বীরভূম সহ একাধিক এলাকার পরিযায়ী বাঙালী শ্রমিকদের ওড়িশায় আটক করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি পরিচালিত ওড়িশা পুলিশের বিরুদ্ধে। নানান অছিলায় বাঙালী পরিযায়ী শ্রমিকদের নির্যাতন হেনস্থা করার অভিযোগ সামনে আসছে ওড়িশার বিজেপি সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *