ব্যুরো রিপোর্ট: নেপালে ফের বিমান দুর্ঘটনা (Nepal Plane Crash)। কাঠমান্ডু (Kathmandu) ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই টেক অফের পরই ভেঙে পড়ে একটি বিমান। দুর্ঘটনায় পাইলট ছাড়া সবার মৃত্যু হয়। বিমানে মোট ১৯ জন ছিলেন। ১৮ জনের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করে তদন্ত হলে সম্পূর্ণ বিষয়টি সামনে আসবে।
নেপাল সরকারের তরফে জানানো হয়েছে দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলট মণীশ শাক্য কোনও রকমে প্রাণে বেঁচেছেন। তিনি এখন শিনামঙ্গলের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার সকাল এগারোট নাগাদ সৌর্য এয়ারলাইন্সের একটি বিমান মোট ১৯ জনকে নিয়ে পোখরার উদ্দেশে উড়তে যায়। কিন্তু টেকঅফের পরেই বিমানটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে সেটি। কালো ধোঁয়ায় আকাশ ভরে যায়। ক্যামেরাতে ধরাও পড়েছে সেই ঘটনা।
দ্রুত উদ্ধার কাজে নামে দমকল, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মী, পুলিশ কর্মীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের সব উড়ান ওঠা নামা বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রতি বছরই একটা না একটা বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকে নেপালের বিমানবন্দর। ২০১০ সাল থেকে বুধবার পর্যন্ত ১২টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০২৩ সালে পোখরার দুর্ঘটনায় ৭২ জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে যাত্রী, কেবিন ক্রু সবাই ছিলেন।