কবিতা: রথ ও রথের মেলা


হরষিত মজুমদার

আষাঢ়ে রথের মেলা পথে নর নারী-
বাদাম,জিলাপী মোচা লয়ে যায় বাড়ি।
হস্ত হীন তিন মূর্তি বসে আছে রথে,
বর্ষাতে রাস্তায় কাদা রথ টানে পথে।

আকাশে মেঘবালিকা এই বুঝি ঝরে,
বৃষ্টিতে পড়ছে জল ছাতার উপরে।
জিলাপী দোকানে ভিড় চালা ঘরে মেলা,
ফাঁকা দিয়ে জল পড়ে জল কাদা খেলা।

বালিতে বাদাম ভাজে সুরেলা আওয়াজে,
প্যাকেটে সাজিয়ে রাখে খদ্দেরের মাঝে।
খোসা ছাড়িয়ে বাদাম খেতে ভারী মজা,
বান্ধবী ছাড়িয়ে দিলে খুশি কতো ভজা?

কথিত,সমুদ্র তটে আটকায় কাঠ,
সরাইতে না পারায় জনতার ঘাট।
স্বপ্নদেশে মূর্তি গড়ে রাজা করে রাজ,
শর্ত সাপেক্ষে সুঁতোর করে সেই কাজ।

অধৈর্য রাজার মন মূর্তি তৈরী কাজে,
ছিদ্র দিয়ে দেখে রাজা হস্ত হীন সাজে।
সেই হতে জগন্নাথ পূজ্য কৃষ্ণ শ্যাম,
সুভদ্রা ও বলরাম পূজ্য পুরিধাম।

মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য কৃষ্ণপ্রেমে মজে,
পুরী মন্দিরে কাটায় জগন্নাথ ভজে।
কথিত, যে মহাপ্রভু কৃষ্ণনাম জপে,
সমুদ্রে বিলীন হয় আপনারে সঁপে।

নিত্য নতুন আশায় লোক বাঁধে ঘর,
রথ মেলায় আনন্দ কেহ নাই পর।
বান্ধবী ভিড়ের চাপে একবারে বুকে,
আলতো হৃদয় স্পর্শে থাক মন সুখে।

উল্টো রথে ভারী বৃষ্টি খুশি নিরন্তর,
জয় বাবা জগন্নাথ সবার অন্তর।
আষাঢ়ে রথের যাত্রা নদীবক্ষে জল,
মাঠে মাঠে চাষাবাদ ক্ষেতে চাষী দল।

রথে কুমড়ার বীজ পোঁতে এক মনে,
ঝিঙা,চিচিঙ্গা,কুমড়া বাড়বে ফলনে।
তাপদাহে বৃষ্টিজলে রথের মেলায়,
নব যৌবনে প্রকৃতি সবুজ দেখায়।

হরষিত মজুমদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *