🌍 রাশিয়া-আমেরিকা ফের মুখোমুখি! পারমাণবিক প্রতিযোগিতায় বাড়ছে উত্তেজনা

যুদ্ধের প্রভাব পড়তে পারে খাদ্যদ্রব্যের দামে, আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামার নাম নেই। এবার সেই যুদ্ধের ছায়া পড়ছে বিশ্ব রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতি ও কৃষিক্ষেত্রেও। নতুন করে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা ঘিরে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে।

🔹 কী ঘটেছে

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এর খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন— তাঁদের দেশ সফলভাবে ‘Poseidon’ নামের একটি পারমাণবিক ড্রোন-টর্পেডো পরীক্ষা করেছে।
এর পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকাও খুব শিগগিরই পারমাণবিক পরীক্ষা শুরু করবে।”

এতে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে পারমাণবিক প্রতিযোগিতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, আমেরিকা পরীক্ষা চালালে রাশিয়াও একইভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে। ফলে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

🔹 কোথায় পড়তে পারে এর প্রভাব

বিশেষজ্ঞদের মতে, বড় যুদ্ধ বা পারমাণবিক টানাপোড়েনের ফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে জ্বালানি ও খাদ্যবাজারে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ গম ও সূর্যমুখী তেলের রপ্তানিকারক দেশ। যুদ্ধ বা প্রতিযোগিতার কারণে যদি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যদ্রব্যের দাম আরও বাড়তে পারে।

ভারত বা বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশে এর প্রভাব সরাসরি না পড়লেও, সারের দাম ও পরিবহন খরচ বেড়ে যেতে পারে, যার ফলে চাষিদেরও কিছুটা সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

🔹 বিশেষজ্ঞদের মত

অর্থনীতিবিদদের একাংশের মত, বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ বা পারমাণবিক উত্তেজনা বাড়লে সবথেকে আগে খাদ্যশস্য, জ্বালানি ও কৃষিজ পণ্যের সরবরাহের টান দেখা দেয়।
এর ফলেই স্থানীয় বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে।

রাশিয়া-আমেরিকার নতুন এই টানাপোড়েন এখনই বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
রাজনীতি, কূটনীতি ছাড়াও এর প্রভাব পড়তে পারে সাধারণ মানুষের জীবনে— বিশেষ করে কৃষিক্ষেত্র ও বাজারদরে। বিশ্ব রাজনীতির এই উত্তেজনা যদি বাড়তে থাকে, তবে আগামী দিনে খাদ্যদ্রব্যের দাম ও কৃষি উৎপাদন– দুই-ই চাপে পড়তে পারে।