কৃষি ও কৃষককে বাঁচাতে সমবায় বাঁচাও মঞ্চের সম্মেলন থেকে লড়াইয়ের অঙ্গিকার

নিজস্ব সংবাদদাতা, দাসপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ১ ব্লক সমবায় বাঁচাও মঞ্চের ৫ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল ৩ আগস্ট। রাজ্যের শাসক দল যে ভাবে একের পর এক সমবায়ে নির্বাচন বন্ধ করা বা বিরোধীদের মনোনয়ন তোলা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে তার বিরুদ্ধে সরব হয় সম্মেলন মঞ্চ। দাসপুরের সুলতাননগর জ্যোৎগৌরাঙ্গ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের সভাক্ষে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সম্মেলন থেকে নতুন কমিটি গঠন ও জেলা সম্মেলনে প্রতিনিধি নির্বাচন হয় সর্বসম্মতিক্রমে।

প্রথমে শতাধিক সমবায়ীকে নিয়ে একটি মিছিল আয়োজন করা হয়। মিছিল সুলতাননগর বাজার পকিক্রমা করে। শহীদ বেদিতে মালা পুষ্পার্ঘ ও সমবায়ের সাতরঙা পতাকা উত্তোলন করে শুরু হয় সম্মেলনের কাজ। সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় উদ্বোধনক প্রাক্তন সমবায়ী সুবোধ রায়, জেলা কমিটির সম্পাদক গণেশ সামন্ত, ব্লক কমিটির সভাপতি প্রণব গোস্বামী, বিশিষ্ট সমবায়ী কল্যাণ বেরা সহ অন্যান্যরা একের পর এক উদাহণ তুলে ধরে উল্লেখ করেন, কী ভাবে দুর্নীতির কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কৃষি সমবায় সমিতিগুলি। বিপদে পড়ছে গ্রামীন অর্থনীতি এবং কৃষি ব্যবস্থা। বাধ্য হয়ে ক্ষুদ্র কৃষকরা মাইক্রো ফিনান্সের দিকে ঝুঁকছেন। এবং তাতে বিপদ বাড়ছে কয়েক গুণ। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদায়ী ব্লক সম্পাদক তরুণ ভট্টাচার্য।

বাম আমলে যে সমবায় ব্যবস্থা গ্রামীন অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ হয়ে উঠেছিল, কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির ফলে তা আজ ধ্বংসের পথে। বেশ কয়েক জায়গায় সমবায়ের সদস্যদের প্রথমে হাইকোর্টে লড়াই করে নির্বাচনের রায় নিয়ে আসতে হয়েছে। এবং তার পর পর ভোটের ময়দানে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করে গণতান্ত্রিক বোর্ড গঠন করেছে সমবায় বাঁচাও মঞ্চ। তার ফলে সেই সব সমবায়গুলির উপর মানুষও তাঁদের ভরসা ফিরে পাচ্ছেন। এই লড়াই আরও জোরদার করতে হবে, তবেই কৃষক ও কৃষি এবং সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের স্বার্থ রক্ষা করা যাবে বলে তুলে ধরেন বক্তারা।

ব্লক এলাকার বিভিন্ন সমবায়ের সদস্য হিসাবে সম্মেলনে প্রায় ১৩০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা ব্লক কমিটির জন্য মোট ২৯ জন প্রতিনিধিকে বেছে নেন। এবং পরে আরও ৪ জনকে যোগ করা হবে বলে সম্মেলন মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হয়। এবং সর্বসম্মতিক্রমে ব্লক কমিটির সভাপতি হিসাবে পুণনির্বাচিত হন প্রণব গোস্বামী, সম্পাদকের দায়িত্ব পান পথিক পোড়্যা, সহসভাপতির নির্বাচনিত হন রামপদ চৌধুরী, কাশীনাথ পাণ্ডা, সহ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন তরুণ ভট্টাচার্য এবং অশোক সামন্ত।   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *