ওয়েব ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত Donald Trump ও Xi Jinping–এর বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে পৌঁছেছে যা বাণিজ্য ও স্থিতিশীলতায় নতুন মোড় এনে দিতে পারে। একদিকে চিন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নতুন সূচনা, অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কের জায়গায় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন — প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পররাষ্ট্রনীতিতে ইতিমধ্যেই চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে।
বিশ্বের দুই সবচেয়ে বড় অর্থনীতির মধ্যে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকে চিন ও যুক্তরাষ্ট্র বহু বছর ধরে অচলাবস্থায় থাকা বাণিজ্য ও প্রযুক্তি বৈরিতার সমাধানের চেষ্টা করেছে। বৈঠকে ট্রাম্প জানান যে যুক্তরাষ্ট্র চিনের পণ্যে বর্তমান ৫৭ % শুল্ক কমিয়ে ৪৭ % করতে সম্মত হয়েছে, তবে এই চুক্তি ছিল বিস্তারিত মিনি-ফ্রেমওয়ার্ক পর্যায়ে।
চিনের প্রেসিডেন্ট জানান, “এই সিদ্ধান্ত দুই দেশ, দুই জনগোষ্ঠী ও বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ”। যদিও চুক্তির বাস্তবায়ন এখনও নিশ্চিত নয়, তবু এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে।
ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ও মোদির নীতিতে প্রশ্ন
এই বৈঠক সংকেত দিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র-চিন সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে। যেখানে ভারত এখন কিছুটা পিছিয়ে পড়ছে। ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পণ্যে যেসব শুল্ক আরোপ করেছে, বিশেষত রাশিয়ার তেল আমদানি এবং ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়া নিয়ে — তা মোদির বিদেশনীতি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। প্রশ্ন উঠছে ট্রাম্পের হয়ে প্রচার করে আসা নরেন্দ্র মোদী কেন ‘বন্ধু ট্রাম্পকে’ বোঝাতে পারছেন না!
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রক্ষিত জয়শঙ্কর ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছেন যে “আমরা মার্কিন সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডেই পৌঁছতে পারিনি”। কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, মোদির নীতি এখন ‘স্ট্র্যাটেজিক অটোনমি’ থেকে ‘বাধাপূর্ণ বহুমুখী সম্পর্ক’ হওয়ার পথে। কিন্তু সেই প্রস্তুতি এগতে পারছে না বলেই ভারতের জন্য সুযোগ সীমিত হয়ে আসছে।
📊 চিন-আমেরিকা বৈঠকের সিদ্ধান্ত
- যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক কমাবে (৫৭ % → ৪৭ %)।
- চিন মার্কিন সোয়াবিন কেনা পুনরায় শুরু করবে এবং বিরল মৃত্তিকা ধাতু রপ্তানিতে সহায়ক হবে।
চুক্তিটি যদিও এখনও সম্পূর্ণ হয়নি — তথাপি এটি একটি সংকেত। বিরল মৃত্তিকা ধাতুতে চিনের আধিপত্য রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও প্রযুক্তি নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখে।
ভারতের ক্ষেত্রে, ভারতের রপ্তানি-মুখী অর্থনীতি ও মার্কিন বাজারে প্রবেশের আগ্রহের সঙ্গে এই পরিবর্তনগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বিশেষ করে শুল্ক বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে। মোদির নীতি ধরা পড়ছে উল্লেখযোগ্য বিকল্প পথ তৈরি করতে দেরি করেছে — যা এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।