ব্যুরো রিপোর্ট: শুরুটা (Budget seasion 2024) করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), সকালে সংসদে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, দেশের জনগণ এই সরকারকে হুকুম করেছে এই দেশ চালানোর জন্য। বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ তোলেন মোদী। পাল্টা কড়া কটাক্ষ এসেছে বিরোধীদের তরফেও। NEET ইস্যুতেও সরকারকে আক্রমণ করেন বিরোধীরা। এদিকে মঙ্গলবার সপ্তমবারের জন্য বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
গত দুই লোকসভার মতো এবার আর একক সংখ্যা গরিষ্ঠতায় সরকার গড়তে পারেনি বিজেপি। চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি এবং নীতিশ কুমারের জেডিইউ-এর মতো দলের কাঁধে ভর করে চালাতে হচ্ছে এনডিএ সরকার। তার উপর বিরোধীদের শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। তার প্রতিফলন প্রতিদিন মিলছে সরকারকে নানা ইস্যুতে আক্রমণের মধ্যে দিয়ে।
এই পরিস্থিতিতে আক্রমণ প্রতিআক্রমণ দিয়েই শুরু হল তৃতীয় এনডিএ সরকারের প্রথম বাজেট অধিবেশন। প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠরোধের বক্তব্যের পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো দলগুলি।
তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, শতাধিক সাংসদকে যে ভাবে সংসদ থেকে বহিষ্কার করে দিয়ে বিল পাশ করিয়েছিল বিগত সরকার, তাতে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধের চেষ্টা করে এই সরকারই।
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরি বলেন, বিরোধীরা সংসদে যান মানুষের কথা বলতে। তাঁরা যদি দেখেন বাজেটে মানুষের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না তাহলে তাঁরা তার বিরোধিতা করবেন। বিরোধীদের কাজ সরকারের ভুল ত্রুটি খুঁজে বার করে তুলে ধরা। সেই কাজটাই করবেন তাঁরা।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেওয়াল লিখন পড়তে পারছেন। এটা তাঁর ভয়ের আর্তনাদ। তিনি বুঝতে পারছেন তাঁর পিঠ দেওয়া ঠেকে গিয়েছে।
বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই NEET কাণ্ড নিয়েও বিরোধীদের ঝাঁঝালো আক্রমণের মুখে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন বিরোধীরা। রাহুল গান্ধি বলেন, এই কেলেঙ্কারির জন্য শিক্ষামন্ত্রী নিজেকে ছাড়া সবাইকে দায়ী করছেন। ধর্মেন্দ্র প্রধান উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে।