নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: কলকাতার (Kolkata Transport) রাস্তা থেকে পয়লা অগাস্টের পর কত উঠে যাবে তা নিয়ে সরকার এবং বেসরকারি বাস (Bus) মালিকদের দাবির মধ্যে ফারাক দেখা দিচ্ছে। সরকারের দাবি মাত্র দেড়শোর কাছাকাছি বাস বালিত হবে। অন্য দিকে বাস মালিকদের দাবি সংখ্যাটা কলকাতা, হাওড়া রুটে প্রায় হাজার খানেক।
২০০৯ সালে পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্তের করা এক মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট রায় দেয়, ১৫ বছরের বেশি বয়সের কোনও বাস কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথিরিটি (KMDA)-র এলাকায় চালানো যাবে না। যা চলতি বছরে ১ অগাস্ট থেকে কার্যকর হতে চলেছে।
বাস বাতিলের সংখ্যা প্রসঙ্গে মালিক পক্ষের সংগঠনের দাবি কার্যত খারিজ করে দিয়েছেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তার দাবি, সরকারের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে ১৫৭টি বেসরকারি বাস বাতিল হবে। বাস মালিকরা যে দুই থেকে আড়াই হাজার বাস বাতিলের দাবি করছেন তা আদৌ ঠিক নয়।
সেই সঙ্গে তাঁর দাবি গত পাঁচ বছরে বিকল্প পরিবহন পরিষেবা দিতে এক হাজার গাড়ি রাস্তায় নেমেছে। সেই সঙ্গে প্রায় ৭০ হাজার অ্যাপ ক্যাব রয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে না। শুধু তাই নয় তাঁর আরও দাবি, ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে রাস্তায় গাড়ি নেমেছে।
অন্যদিকে সিটি সার্বাবান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহার দাব, শুধু বেলতলা মোটর ভেহিকলসেই সামনের ৬ মাসে প্রায় পাঁচশো বেসরকারি বাস বাতিল হবে। হাওড়া মোটর ভেহিকলসে বাতিল হবে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০বাস। হাওড়ায় এমনল কিছু রুটও আছে, যেখানে সত্তর শতাংশ বাসই তুলে নিতে হবে। আলিপুর এবং বারাসত মোটর ভেহিকলসেও প্রচুর বাস বাতিল হবে, সেগুলিও এই হিসাবের মধ্যে ধরতে হবে।
এর সঙ্গে টিটু সাহার আরও দাবি, ডিজেলের দামের কথাও তোলেন। বলেন গত কয়েক বছরেই ডিজেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ টাকা। তার ফলে বাস চালানোর খরচ কয়েক হাজার টাকা বেড়ে গিয়েছে। তার ফলেও অনেক বাস উঠে যাওয়ার অশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। আর নতুন বাস সে ভাবে নামেনি, পুরনো বাসের জায়গায় কিছু নতুন বাস এসেছে। কেবল রিপ্লেস হয়েছে। আর অ্যাপ ক্যাব গরীব সাধারণ মানুষের জন্য নয়। ফলে বাসই তাঁদের এক মাত্র ভরসা।