ব্যুরো রিপোর্ট: ছাত্র আন্দোলন ও তার জেরে কয়েকশো মানুষের মৃত্যুর পর শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীত্ব এবং দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বোন রেহানা হাসিনা। ঢাকা থেকে তাঁরা ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই দেশের দায়িত্ব নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে পালা বদলের পরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। নানা জায়গায় ভাঙচুর আগুন ধরানোর মতো ঘটনা সামনে আসছে।
বাংলাদেশের চলতি পরিস্থিতিতে সে দেশে বড় রাজনৈতিক পালা বদল হয়ে গেল। আজ সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে লং মার্চ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করার পরই দেশ ছাড়তে পারেন শেখ হাসিনা। তার পরই তাঁর বাসভবন দখল করে নেন আন্দোলনকারীরা। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে শেখ হাসিনার বিমান দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
আন্দোলনে ভাঙা হল বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তিও। বাংলাদেশ স্বাধীনের মূল কারিগর মুজিবর রহমানের মূর্তির উপর উঠে আন্দোলনকারীদের হাতুড়ি দিয়ে তা ভাঙতে দেখা গিয়েছে। এমনকি রাজধানীতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কার্যালয়ে এবং আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। যা পাশের একটি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
পালা বদলের পর বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, তিনি দেশের দায়িত্ব নিচ্ছেন। সবাইকে আন্দোলন থামিয়ে ঘরে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। কারণ এই আন্দোলন থেকে আর কিছু পাওয়ার নেই।
ওয়াকার-উজ-জামান আরও জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরই একটি সর্বদলীয় বৈঠক হয়। সেখানে বিএনপি সহ সব দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা থাকলেও আওয়ামি লিগের কেউ ছিলেন না। ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, “সব হত্যার বিচার হবে। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফের সর্বদলীয় বৈটক হবে”। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে ভারতের প্রশাসনও। ইতিমধ্যেই কলকাতায় পৌঁছেছেন বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরি। বাংলাদেশের পরিস্থিতির প্রভাব যাতে ভারতের উপর না পড়ে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে, তার দিকে কড়া নজর রাখছে প্রশাসন।